1. i@shahitterkagojbrammaputro.online : সাহিত্যের কাগজ ব্রহ্মপুত্র : সাহিত্যের কাগজ ব্রহ্মপুত্র
  2. info@www.shahitterkagojbrammaputro.online : সাহিত্যের কাগজ ব্রহ্মপুত্র :
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন

গোবরে পদ্ম ফোটে না– তফিল উদ্দিন মণ্ডল

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১০৬৫ বার পড়া হয়েছে

গোবরে পদ্ম ফোটে না

তফিল উদ্দিন মণ্ডল

আমি কখনও নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা অন্যকে লিখে জানাব তেমন ভাবনা মোটেও ভাবি নি।তা ছাড়া আমার পেশা এবং নেশাটি এমন কিছু গৌরবের ছিল তা কিন্তু নয়। বলতে গেলে লোক সমাজে পেশাটির নাম শুনলেই মানুষ ভ্রূকুঁচকায়, মনে মনে শালা,হারামজাদাসহ আরও নিকৃষ্ট মানের গালি খরচ করে। তারপরও এই পড়ন্ত বিকেলে কেন আমার সেই ছাইকালো পেশায় অর্জিত অভিজ্ঞতার বয়ান নিয়ে বসেছি সেটা কোটি টাকার প্রশ্ন।
কারণ খুব বেশি না। কারণ একটাই। তা হল আমার উচ্চশিক্ষিত এবং উচ্চপদস্থ পুত্রের ক্রিয়াকলাপকে কেন্দ্র করে আত্ম-জিজ্ঞাসা।
ইদানিং বহুপঠিত এবং বহুচর্চিত একটি বাংলা প্রবাদ নিয়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে।প্রবাদটি হচ্ছে, গোবরে পদ্মফুল। এই গোবরে পদ্মফুল কথাটি কে প্রথম প্রচার করেছে তার কাণ্ডজ্ঞান সম্পর্কে আমার সংশয় রয়েছে। কেননা বাংল্যকালাবধি দেখে এবং শুনে আসছি যে পদ্মফুল বিলে ফোটে। আর বিলে পানি থৈ থৈ করে। সেখানে এমন কোন বেক্কল গরু আছে যে পানি সাঁতরে গিয়ে গোবর ত্যাগ করে আসবে পদ্ম ফোটানোর জন্য। এই অসার বিষয়টি বোঝার মত বুদ্ধি আমার ঘটে নাই।
আমিও আমার পুত্রকে নিয়ে গৌরব করতাম এবং মনে মনে ভাবতাম পুত্রটি আমার গোবরে পদ্মফুল।কেননা আমার মত এমন নিকৃষ্ট মানুষের এমন সুযোগ্য পুত্রের জন্ম সত্যি গোবরে পদ্মফুলের মতই।
আমি আমার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হই। তবে আমার পদ্মফুল পুত্রটি অনুতপ্ত হয় না বরং তার কুকর্মের জন্য গর্ববোধ করে। আবার একই সাথে তার বাবার অপকর্মের জন্য লোকসমাজে লজ্জা পায়।
আমার কাজের বিষয়টি খুলেই বলি।প্রকৃত পক্ষে ব্যক্তিজীবনে আমি একজন নামকরা চোর ছিলাম। চৌর্যবৃত্তিতে বিখ্যাত বা কুখ্যাত হওয়ার জন্য আমাকে অশেষ ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কখনও কখনও আমার পৃষ্ঠ এবং পশ্চাদ্দেশ পাব্লিকের প্যাদানির জন্য উন্মুত্ত হয়ে যেত।
আমি আমার বাবার পকেট থেকে পয়সা চুরি করে গ্রামীণ মেলায় জুয়াখেলার মধ্যে দিয়ে চৌর্যবৃত্তি শুরু করেছিলাম।
কথায় বলে,চোরের দশদিন সাউধের একদিন। চুরি করার এই কৈশোরক পেশায় আমি একদিন আমার বাবার হাতে ধরা খেয়ে গেলাম।ততদিনে জুয়াখেলাও আমার মনের চামড়ায় শ্বেত কুষ্ঠের মত লেগে গেছে।
বাবা হাতে নাতে ধরে ফেলে কিছুই বলেন নি।আমি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম।বাবার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঔদার্যে আমি স্বস্তির শ্বাস ফেললাম। আমার ধারণাটা যে কত বড় ভুল ছিল তা বুঝলাম সন্ধ্যার পর। বাবা, তিন চারখানা কাঁচা কঞ্চি একসাথে বেঁধে চুরি করলে কেমন শাস্তি পেতে হয় আমার পিঠে তারই ব্যবহারিক ক্লাস শুরু করলেন। আমি বসনচ্যূত হয়ে সজ্ঞাহীন হবার ভান করে সে যাত্রায় রক্ষা পেলাম। সেদিন থেকে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম নিজগৃহে আর চুরি করব না।চুরি করলে অন্যত্র করব।
তারপর থেকে আমি আম জাম ডাব নারকেল মুরগি চুরিতে আত্মনিয়োগ করলাম। নির্বিঘ্নেই চলছিল কিন্তু না, ওই যে কোন মহা পণ্ডিত না কি বলে গেছেন দশদিন চোরের একদিন সাউধের। ধরা খেলেই মনে মনে ফুঁসতাম আর বলতাম এমন কথা যদি পণ্ডিতলোকে বলে তবে মূর্খ লোকের আর বলার কী থাকতে পারে।
একরাতে আজগর আলির মুরগির খোপ থেকে মুরগি চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলাম। দিনের বেলায় কে মারে আর কত মারে দেখা যায়।রাতের মার তো বাইতুল মালের মত। যার যেমন ইচ্ছে যত ইচ্ছে।
প্রথম দফা অভিভাবকের আর দ্বিতীয় দফা পাব্লিকের।
মনে মনে পরিকল্পনা করলাম এখন থেকে আর ছেচরামি নয়।এখন থেকে আমি সিঁধেল চোর হব। তাই একজন প্রবীণ চোরের শিষ্যত্ব গ্রহণ করলাম।
হোক না চুরি বিদ্যা। ওস্তাদ তো ওস্তাদই। শিষ্যের চোখে তিনি দেবতা।আমি সহ তার অপরাপর শিষ্যগণও তাকে দেবতাই জ্ঞান করতো।তিনিও একজন শিষ্যকে উত্তম চোর হিসেবে গড়ে তুলতে বিন্দুমাত্র অবহেলা করতেন না।
প্রথম প্রথম তিনি আমাকে সিঁধ কাটার কাজে নিয়োগ করতেন।আমাকে গেরস্থের গৃহে প্রবেশ করতে দিতেন না। আমি সিঁধ কাটলে তিনি গৃহে প্রবেশ করতেন।আমি সিঁধের মুখে বসে মালামাল সরাতাম।
আমার স্বর্গীয় ওস্তাদ দুটি বিষয় কঠোর ভাবে মেনে চলতেন।তিনি কখনও গরীবের ঘরে চুরি করতেন না। আর নিজ এলাকা এবং আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও চুরি করতেন না।
সিঁধেল চুরি করতে গিয়ে আমি ওস্তাদের ইনস্ট্রাকশন না মানায় আমি ধরা খেলাম। পাব্লিকের বেশুমার পিটুনি, পুলিশের প্যাদানি এবং হাজত বাসের মধ্যে দিয়ে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলাম।
এভাবেই মোটামুটি চলছিল।
ইতোমধ্যে আমার পুত্রটি স্কুলে ভাল রেজাল্ট করায় বৃত্তি পেয়েছিল।আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলল, ছেলেটির যেহেতু মাথা ভাল তাই তুই আর চুরিজারি করিস না।সঙ্গী সাথীরা তাকে চোর বলে অসম্মান করে।ছেলেটির মন ছোট হয়ে যায়।
আমি ভাবলাম কথাটি তো সত্য। অনেক ভেবে চিন্তে আমি স্থির করলাম আমি চোর যেমন সত্য তার চেয়েও বড় সত্য হল আমি একজন বাবা। তাই সন্তানের জন্য আমাকে এতটুকু সেক্রিফাইজ করতেই হবে। বলতে গেলে এক কথায় আমি চুরিবিদ্যা বিসর্জন দিলাম।
সময়ের স্রোতে ভাসতে ভাসতে ছেলেটি আমার উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হল।চারদিকে তার নাম ডাক ছড়িয়ে পড়ল। সে সরকারি চাকুরি পেয়ে বড় পদে আসীন হল।
আমিও ভাবলাম আমি চুরি বিদ্যা ত্যাগ করে ভাল করেছিলাম।
কিছুদিন পর আমার পুত্রধন সম্পত্তি ক্রয় করতে শুরু করল। তারপর বাড়িঘর তৈরি করল। আমার মনে খটকা লাগল পুত্র আমার যে টাকা বেতন পায় তাতে এত তাড়াতাড়ি সহায় সম্পত্তি, বাড়িঘর করা সম্ভব নয়। বিষয়টি একদিন আমি আমার পুত্রকে জিজ্ঞেস করলাম। সে আমার কাছে কোন কথা গোপন না করে সগর্বে যা বলল তাতে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। তাহলে কি রক্ত কথা বলে? চোরের রক্তে কি চোর পয়দা হয়েছে? আহারে আমার সাধের পদ্মফুল।এত শিক্ষার পরও নিজের শরীর থেকে চোরের রক্ত মুছে ফেলতে পারলি না?
আমি ইদানিং আমার পুত্রের গতিবিধির উপর নজর রাখি।তার পকেট ফুলে উঠার পদ্ধতিগুলো পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করি। যদিও পুত্রের আলিশান অফিসে আমাকে দেখতে সে স্বচ্ছন্দ বোধ করে না তবু আমি তার দৃষ্টি এড়িয়ে ছায়ার মত ঘোরাফেরা করি।
আমার ধারণা ছিল আমার সোহাগের পদ্মফুল বোধহয় কেবল ঘুষ টুষ খায়। আমার সে ধারণা যে ভুল সেটা প্রমাণিত হল যেদিন আমাদের এলাকার ঠোঁট কাটা আবছারকে পুত্রধনের অফিসে ঢুকতে দেখলাম।
ঠোঁট কাটা আবছার পারে না এমন অপকর্ম নেই। সে যদি কোন ফেরেশতার সাথেও মিতালি করে তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই সে ফেরেশতাও হারুত মারুত হয়ে যাবে। আর সেই ঠোঁট কাটা আবছার যখন পুত্রধনের এরিয়ায় পদধুলি দিয়েছে তখন আমার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেল।
আমি যেদিন চৌর্যবৃত্তি পরিত্যাগ করেছিলাম সেদিনই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমার পুত্রটি যেন মানুষের মত মানুষ হয়। আমার মত চোর বাটপার ছেচ্চর যাতে না হয়। যাতে আমার চোর নামটি তার সুখ্যাতির তলে চাপা পড়ে যায়। আজ আমার নিজের চুল নিজে ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
আমার চোর বলে কুখ্যাতি থাকলেও পুত্রকে আমি চোর বানাতে চাই নি।কোন বাবাই সেটা চায় না।আমার ছেলেটির আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া দেখে আমি বিস্মিত হলেও তাকে চোর ভাবার মত চিন্তা আমার মাথায় আসে নি।আমার এই ধারণা ভেঙে চুরমার হতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় নি।
আমি ঠোঁট কাটা আবছারকে একদিন আমার বাড়িতে ডেকে আনলাম। সে আমাকে সমীহ করত। সেটা আমার জন্য নয়।সত্যি বলতে কি আমাকে সমীহ করার মত যোগ্য লোক আমি কখনোই ছিলাম না।
আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আমার পুত্রধনের সাথে তো তোর ভাল সম্পর্ক। শুনলাম তুই তার অফিসেও ঘনঘন যাতায়াত করিস।তো আমার পুত্রের অফিসে তোর কী কাজ।
ঠোঁট কাটা আবছার মনে করেছিল আমার পুত্রের কাজকর্ম সম্পর্কে আমি নিশ্চয়ই অবহিত।তার ধারণা পুত্রের অপকর্মে আমি গর্ববোধ করি।কিন্তু ভেতরের মানুষটি বদলে গেলেও পূর্বকৃতকর্মের জন্য সে পরিবর্তনটা মানুষ ভড়ং মনে করে।কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না।এটা মানুষের দোষ নয় আমার কৃতকর্মের দোষ।
ঠোঁট কাটা আবছার আমাকে নিঃসঙ্কোচে পুত্রের কাজকর্ম সম্পর্কে আমাকে বলতে লাগল।
সে বললো, চাচা, আমি আপনার পুত্রের এজেন্ট বা দালাল হিসেবে কাজ করি। যেমন ধরুন তার অফিসে সরকারি কেনাকাটা হবে।তখন আমার ডাক পড়ে।আমি বিভিন্ন পার্টির দালালি করি। এক টাকার জিনিস দশ টাকায় কেনার ফর্মূলা তারা দেখিয়ে দেয়। আমি বিশ্বস্ত এজেন্ট হিসেবে কমিশন পাই।
তারপর আপনার ছেলের কাছে বিভিন্ন লোকের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ধরা থাকে। অফিসে বসে ঘুষ খাওয়াটা সে পছন্দ করে না। আমি ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলে ঘুষের টাকা গ্রহণ করে ক্লিয়ারেন্স দিলে ফাইল ছেড়ে দেয়া হয়।
আমি ঠোঁট কাটা আবছারের কথা শোনে তো থ মেরে গেলাম। ভেবেছিলাম ছেলেকে শিক্ষিত করে নিজের গায়ের কলঙ্কমোচন করবো। এখন তো দেখছি কলঙ্ক আলকাতরার মত আমার বংশের গায়ে লেপ্টে যাচ্ছে। এ তো অসম্ভব কথা। শিক্ষিত মানুষ দায়িত্বের জায়গায় বসে ডাকাতি করবে। এমনটা যদি বুঝতে পারতাম তাহলে তো পুত্রধনকে ছিচকে চোরই বানাতাম।
ঠোঁট কাটা আবছার আমাকে বলল, চাচা, তোমার দুঃখের দিন শেষ। ছেলে লায়েক হয়েছে।চার হাতপায়ে টাকা কামাই করছে।এখন তো তুমি প্রতিবছর হজ্ব করতে পারবে।
মনে মনে বললাম, রাখ তোর হজ্ব।আমি আমার বাপের কলঙ্ক হয়ে জন্মেছিলাম।তবে যেদিন সেটা বুঝেছিলাম সেদিন থেকেই চুরিজারি ত্যাগ করেছিলাম।
আবছারকে বললাম, এবার তুমি যাও বেটা।
যদিও আমার পুত্র আমাকে খুব একটা পাত্তা দিত না তাই বলে অসম্মানও করত না।
একদিন আমি আমার পুত্রকে নিয়ে বসলাম। কথায় কথায় তাকে বোঝাতে চাইলাম, আল্লাহ পাক মানুষের উপর বড় দায়িত্ব অর্পণ করেন তাকে পরীক্ষা করার জন্য। মানুষের সেবা করার জন্য।নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে যদি কেউ মানুষের অধিকার নিয়ে খেলে আল্লাহ তাকে কখনো ক্ষমা করেন না। তাই নিজেকে স্বচ্ছ রাখাই উত্তম।
আমার পুত্র কথাগুলো শোনে অট্টহাস্যে ফেটে পড়ল। সে বলল, বাবা, তুমি কোন যুগের মানুষ? একা আমি ভাল হলে আমাকে আর চাকরি করতে হবে না। আমার উপরে যত জন আছেন তারা ধরেই নেন যে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিয়ে আমি বাণিজ্য করি এবং সে বাণিজ্যে তাদেরও অংশ আছে। অধস্তনদের কাজকর্মের উপর তারা গোয়েন্দাগিরি করার জন্য লোক নিয়োগ করেন।যদি বিনা সুবিধায় কোন কাজ কোন ভুক্তভোগীকে করে দেয় কোন পদস্থ অধস্তন তাহলে তাকে জাতীয় স্বার্থের দুশমন মনে করা হয়।এখন তুমিই বল, চুরি না করে উপায় কি?
পুত্রের কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। আমিও তো চুরি করতাম তবে গেরস্থের কথা ভাবতাম।তার সাড়ে সর্বনাশ করতাম না। নিজ এলাকায় চুরি করতাম না।বলা যায় একধরনের অঞ্চলপ্রীতি এবং স্বজন প্রীতি ছিল।
এখন পুত্রের কথা শুনে মনে হচ্ছে বাপের কোন কাজও সে বিনা সালামিতে করতে পারবে না।
আমি আমার পুত্রকে কিছুই বলতে পারলাম না।শুধু ভাবলাম, এদেশের রাজনীতিক,আমলা, বিভিন্ন পেশাজীবি সহস্র মুখে জনস্বার্থ, জনসেবা জিকির করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে অথচ তলে তলে বলতে গেলে চৌর্যবৃত্তির অবাধ চর্চা।
সেদিন বঙ্গবন্ধু যখন বলেছিলেন, সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি।সেদিনও সেই সব চোরের কাছে আমরা ছিলাম কুনোর ব্যাঙ।আজ সে সব চোরদের বংশবৃদ্ধি হয়েছে জ্যামিতিক হারে।হাটে মাঠে বাটে,নদী নালা সমুদ্রে, পাগাড়ে ভাগাড়ে অফিস আদালতে চোখের কোটায় চর্ম উকুনের মত চোরেরা জেঁকে বসে আছে। তাই ভাবি, আমরা ছিলাম উৎকৃষ্ট চিন্তার নিকৃষ্ট চোর আর আজ আমার সন্তান হয়েছে নিকৃষ্ট চিন্তার উৎকৃষ্ট চোর।
অনেক ভেবে চিন্তে মেনে নিলাম, চোরের ঔরসে চোরই হয়।মিথ্যেই লোকে বলে গোবরে পদ্ম ফোটে।

০৮/৩/২০২৩
ময়মনসিংহ
বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
Theme Customized By BreakingNews