ফিলিস্তিন আজ বিভৎস !
ম নি রু জ্জা মা ন বা দ ল
কি ভয়াবহ বিভৎস চারিদিকে দুর্গন্ধ!
বাতাসে ধ্বনিত হয় শুধু শিশুর আহাজারিতে !
পুরো শহরটা যেন অন্ধকারে নিমিষেই ছেয়ে গেছে।
যেন একটা ঝলসানো রুটির এপিঠ-ওপিঠ!
এখন আর এই শহরে ছোঁপ ছোঁপ রক্ত আর ধোঁয়া ছাড়া কিচ্ছু চোখে পড়ে না।
থমথমে ভাব, নিস্তব্ধতা বিস্ফোরণের ভয়াবহ চিৎকারে,
তামা-কাসার মত সুবহে সাদিক ।
এই শহরে এখন আর আগের মত বাতি জ্বলে না!
ব্যস্ত অসহায় বাবা’রা বোমার আঘাতে ঝলসে যাওয়া
শিশুদের বাঁচাতে কাতরাচ্ছে ।
কতটা ভীষণ অবহেলায় পুড়লে কয়লার মত
হয়ে যায় প্রাচীন নগরী!
লক্ষ লক্ষ পাপড়ি ঝরে গেছে ওদের বোমায়!
চারিদিকে কালো কুৎসিত লাসের মিছিল আর মিছিল।
যেন আঁকতে যেয়ে থেমে গেছে চিত্রকর, বেলচা,কুনি হাতে রাজমিস্ত্রী, দুগ্ধপানে ব্যস্ত নবজাতক শিশুর মা!
সবই জীবন্ত প্রতিচ্ছবির কয়লার স্তোপে পড়ে আছে।
পৃথিবীর সব শুয়োরের আনাগোনা পশ্চিমাদের দখলে,
মদ,হুয়িস্কির আয়োজনে টেবিল গরম করেছে।
বিয়ারের ভীড় জমেছে কূটনৈতিক পাড়ায়!
বিস্তীর্ণ মরুভূমির মতো শুধু অগুনতি লাশ আর লাশ,
এগুলো ওদের চোখে পড়ে না?
কে নিবে এদের দায়ভার!
কে দিবে এদের সান্ত্বনা?
মানচিত্র দিয়ে কি হবে , আগে বাঁচতে দে প্রাচীন নগরী !
রচনাকাল – সতেরো, ডিসেম্বর, বিশ- তেইশ।