স্বাধীনতার ফেরিওয়ালা !
ম নি রু জ্জা মা ন বা দ ল
কেউ বাচ্চা নেবেন গো —- বাচ্চা!
এই কে তুমি! চরিত্রহীন, বেশ্যা মহিলা কোথাকার।
বিশ্বাস করুন সাহেব,—–
আমি কোন বাজারের বেশ্যা নই
নই কোন খদ্দেরের ক্রয়কৃত পণ্য,
নই কোন বিষাদের লুণ্ঠিত মাতাল দূরন্ত ষাঁড়ের শিং,
আমি স্বাধীনতার ফেরিওয়ালা!
গতর বেঁইচ্যা নিজে খাই আর পোলাপানগো পুষি।
আপনার শহরে ঝুলন্ত লক্ষ লক্ষ ব্যনার ফেস্টুনের
মতোই ঝুলন্ত আমার কষ্টগুলো!
কাঁচের মতোই স্বচ্ছ নয় আমার দেহ,
তবুও জনতার ভীড় ঠেলে ভুতুমের মত,
চোখ লাল করে তাকিয়ে শুষে নেয় আমার শরীরের গন্ধ।
জরায়ুর মুখের ভেতরে প্রতিদিন জন্ম হয় নতুন পৃথিবী,
প্রতিদিনই জারি হয় আমার ওপর নানারকম হুলিয়া
আমি আমার মতো চলবো চলবোই!
অতঃপর!
এই স্বাধীনতা আমি রক্তের দামে কিনবো না!
এই স্বাধীনতা আমি কিনবোনা সম্ভ্রমের বিনিময়ে!
আজ আমি এই স্বাধীনতা ক্ষুধার্ত পেটের
জ্বালা কমাতে ছাইয়ের দামে বিক্রি করব!
আমি যে বড্ড বেশি ক্ষুধার্ত নারী।
কেউ বাচ্চা নেবেন গো বাচ্চা ——!
রচনাকাল – ছাব্বিশ, মার্চ,বিশ-চব্বিশ।